রাতের
সমুদ্রের ভয়াবহ সুন্দর সম্মোহন থেকে পরিচালক
আমার
কোনো সমালোচনা
ফেরাতে
পারবে না তোমার রক্ত মাংস হাড়
তোমার
দুঃস্বপ্ন,
জীবনের
প্রবাহকে ছোঁওয়ার তোমার অসফল করুণ কিন্তু কাব্যময় প্রয়াস।
তোমার
ফিল্মের কয়েকটি দৃশ্যপ্রবাহ
বদলে
দিলেও
বদলে
যাবে না তোমার নায়কের নিয়তি।
তবু
অপরাধীরা এখনো রয়েছে চারদিকে।
আর
তুমি নিজেকে অপরাধী করে
তাদের
লুকিয়ে রাখলে।
আমাদের
বোঝাপড়া তাদের সাথে।
তোমার
মৃত্যু, তোমার ফিল্ম, তোমার নায়কের কুৎসিত নিয়তি
আমাদের
ও তাদের মাঝখানে
তাজা
রক্তে মাখামাখি
পরিত্যক্ত বধ্যভূমি!
আমাদের
প্রমাণ করতে হবে যে তারাই জহ্লাদ।
কেন
আর্ট গ্যালারি এত অপ্রাসঙ্গিক?
কেন
ভেনাস? হাস্যকরভাবে আজও ভেনাস একদিকে
ও
অন্যদিকে
এ্যাসিডপোড়া
নারীদেহের বিলাস?
কেন
ট্রেনের সংগীতে
মেশিন
বেশি প্রবল মানুষের থেকে?
কেন
সন্ধ্যা এত প্রাকৃতিক?
সেতু
প্রাকৃতিক?
ট্রেনের
জানলায় ধাবমান টেলিগ্রাফের তার প্রাকৃতিক?
এমনকি
মানুষের প্রবাহ প্রাকৃতিক?
কত
শতকের রক্তঘাম লুকিয়ে তবে প্রাকৃতিক?
কেন
শৈশবের সব ট্রেন
এত নিরুদ্দেশগামী?
কেন
শৈশবের সব ছবি
এত বিষন্ন, অসহায়?
কেন
ধর্মের কুষ্ঠ আর কুষ্ঠের ধর্মে ভরা একটা শহর
আজও
সূর্য পায়
নদী
পায়
রুপোলী
ঝিলিক, নীল আকাশ আর প্রাচীনত্বের
বাদামী দৃঢ়তা
পায়?
কেন
এত বিচ্ছিন্ন মুখ, এত ভয়ধরানো ভাবে অর্থহীন কথা
ও
কালযাপন
লোকাল
ট্রেনে, রানিংরুমে, হোটেলে চত্বরে?
কেন
এ সবকিছু যা ভেঙেচুরে অন্য কিছু হয়ে উঠতে পারতো
তা
হয়ে ওঠেনি
কেন? কেন?
এসব
ফিল্মটার ব্যাপার শুধু নয়
এসব
এমনই রয়েছে আমাদের দিনযাপনে আজও
কেন?
২৭শে জুলাই ১৯৮৪
No comments:
Post a Comment