উঁহ!
এত গোমড়া কেন?
হাসুন!
– বলেছিলাম।
বলায়
শুধু অভ্যাসটা ছিল
ছবিতে হাসিমুখ তোলার।
তীরের
বালিতে সাইক্লোনের ধ্বংসচিহ্ন ছড়িয়ে থাকলেও
মাথায়
ছিল না প্রেক্ষাপট।
জিজ্ঞেসও
করিনি, ঝড়ের দিনগুলোয়
কেমন
ছিলেন তিনি, তাঁর পরিবার, এলাকার মানুষেরা।
যদিও
স্পষ্ট ছিল যে তাঁর দোকানঘরটাও
জলে
ক্ষয়ে বেরিয়ে আসা কাঠ,
রঙের
পোঁচ, নতুন প্লাস্টিক।
বালিতে
গেঁথে ছিল ভাঙা মৎস্যকন্যা,
ভাসিয়ে
নিয়ে যাওয়া কোনো পাকা ঘরের
অবশেষটুকু।
সমুদ্রের
পটভূমিতে তিনি হেসেছিলেন।
পায়াওয়ালা
ছোট্টো গুমটিটার
আলোআঁধারে
আকাশি শাড়িতে বসে,
শঙ্খ,
ঝিনুক দিয়ে গড়া বাহারি সব জিনিষের মাঝে …
এত দূর!
আবার গিয়ে ঝালিয়ে নেওয়া যাবে না
এক দুপুরের
ক্ষণিক আলাপ।
আর সেই
অক্ষমতায় যেন এ্যালবামে
দিনে
দিনে সংক্রামক হয়ে উঠছে হাসিটা।
৯.৬.২৫
No comments:
Post a Comment