সকালে
উঠে ভালোলাগার একটা কাজ তো চাই মানুষের!
আমার
আটা মাখতে ভালো লাগে। অর্থাৎ, কাজটা কোনোদিন,
যদি
হাতে পাই – জমিয়ে লাগি হেঁসেলে।
কতো
ভ্যাবলা থাকি ছোটোবেলায়, আটা, ময়দা, সুজি যে সব
গমেরই
রূপ, জানতে সময় লেগেছে। সেদিন বেঙালুরুর
দোকানে
জানালো, সুজিও তিন রকম।
রেশনের
গম বেছে, ধুয়ে, শুকোতে দেওয়া হতো; পেষাইকলে
দেখতাম
আটার ঝর্ণা! অনেক পরে বুঝি, দূরে কোনো গ্রামে
পেষাইকল-মালিক
কেন মহাজন।
তৈরি
গমক্ষেতের শিরশিরানি ভিন্নজাত; গল্পগুলো যেন
নীল
নিরুদ্দেশ ছুঁয়ে দানা বাঁধে। ধানক্ষেতের শিরশিরানি
ঢেউয়ে
ঢেউয়ে ভিতরের দিকে টানে।
আকছার
স্বল্প আলো ঢোকে ঘরে, আধো অন্ধকারে বসে মাখি,
ঈষদুষ্ণ
আটায় ডোবা আঙুলে অল্প জল ঢালি – টের পাই
আসছে
মা-দিদারা তাবৎ পৃথিবীর।
বোন
ও বৌদিরা, দুষ্টুমুখ! দাঁড়িয়ে পড়েছে আমার পিছনে …
কতো
ভাষার উনুনে গুনগুন, গমের স্বপ্নভূমিতে যেন;
হিন্দুকুশের
দুপার ভরে হয়ে উঠি।
২০.৭.২৫