Saturday, May 4, 2024

হকের রোজগার

মার্ক্সকে আমি আমার প্রথম টিউশনির
মাইনের মতো হকের
                 রোজগারে পেয়েছি।
ব্যাটা দিতেই চাইতো না।
হ্যাঁ, আমারই স্কুলের বন্ধু,
ওর ভাইপোদের পড়াতাম,
রোজ জলখাবার খাইয়ে টিরকাতো
কী ঘোরালো মাল, পয়সাটুকু দিতে!
 
ভাবলাম ঘুরবো দেশ!
অনেকেই ঘুরছে সেসময়!
হেঁটে, হিচহাইকে, আমরা সাইকেলে
দুপুরে অন্ধ্রে ঢুকতেই, হাইওয়ের বুকে
            কাঠ মাথায় বুড়ির, দাঁড়িয়ে 
কাপড় তুলে কর্কটরেখার ওপরে পেচ্ছাপ!
পেচ্ছাপসুদ্ধু কর্কটরেখাটাই যেন
এঁটে ধরলো শিরদাঁড়া।
এঁটে ধরলো দুহাজার মাইলে ভালোবাসার
ঘেমো সান্নিধ্য সব অচেনা ভাষায়,
অচেনা মায়েদের, চাষীদের, ভালো মানুষদের,
দিনান্তের মজুর আর রাতের ছাত্রদের

মার্ক্স আমাদের সবারই
নিজের মতো উপার্জন
ততোটাই, যতোটা কবীর!
             কবীরের সঙ্গে মার্ক্স?
             কোনো মিল হোলো?
মিলটাও উপার্জন ভাই!
লড়ে পাওয়া এই উপমহাদ্বীপ!
রাহুলজি বুদ্ধের সঙ্গে মার্ক্সের 
মিল দেখান। কিন্তু চেহারা দেখে আমার
চার্বাকের কথা মনে হয়
              আমাদের আদিবুড়ো।
চার্বাক অর্জনেও তো, সেই
আমাদের বিদ্যাসাগরকেই
ভাঙতে হলো যুগবিস্মৃতির করোটি!
----
লেনিনের প্রথম বইটা আমি
হিন্দিতে কিনেছিলাম।
কিন্তু, মার্ক্সের বাংলায়।
যেন মোটা মাথার মোটা হিসেব
              বিহারি বাঙালি,
মানুষের সঙ্গে কথায় লাগবেন
লেনিন, আর নিজের সঙ্গে কথায়
মার্ক্স!
বোকামি?
হ্যাঁ, তা বোকামি তো বটেই।
নিজের সঙ্গে কথা আর
মানুষের সঙ্গে কথা যে শেষে এক,
জীবন লাগছে বুঝতে!  

৪.৫.২৪   

No comments:

Post a Comment